নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া উচ্ছেদ নোটিশ স্থগিত করেছে আদালত। ফলে জেলা আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের জমিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ১৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে বলেছে আদালত।
গত ১৯ এপ্রিল রাতে নোটিশ জারি করে বিশ্বভারতী জানায়, অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমেল জমি দখলে রেখেছেন। ১৫ দিন অর্থাৎ ৬ মে’র মধ্যে তা খালি করে দিতে হবে। নোটিশে দাবি করা হয়, ওই জমি জনগণের সম্পত্তি, তা দখল করে রাখা যাবে না। অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। তাকে সশরীর হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উনি বা তার কোনো প্রতিনিধি আসেননি।
পরে ওই নোটিশ ‘প্রতীচী’ বাড়ির গেটেও টানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই বিশ্বভারতীর এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জেলা জজ আদালতে যান নোবেলজয়ীর আইনজীবীরা। আগেও কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলাটি নিম্ন আদালতকে শোনার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী সোমবার (৭ আগস্ট) সিউড়ি আদালতে মামলার শুনানি ছিল। সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিশে স্থগিতাদেশ দেন। অর্থাৎ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনের প্রতীচী বাড়ির জমিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন, এতদিন দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন আদালত। মঙ্গলবার রায় দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন জেলা সিউড়ি আদালত। পাশাপাশি বিশ্বভারতীর কাছে প্রয়োজনীয় নথি চাওয়া হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ফের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রতীচী বাড়ির দায়িত্বে থাকা গীতিকণ্ঠ মজুমদার বলেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বারবার দাবি করেছে ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে আছেন অমর্ত্য সেন। সিউড়ি জেলা আদালতের যোগ্য জবাব স্থগিতাদেশ দিয়েই প্রমাণ করেছে কে ঠিক আর কে বেঠিক।