অর্ধলক্ষ শিক্ষক নিয়োগ কর্মযজ্ঞ শুরু, ই-রেজিস্ট্রেশন ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত - দৈনিকশিক্ষা

অর্ধলক্ষ শিক্ষক নিয়োগ কর্মযজ্ঞ শুরু, ই-রেজিস্ট্রেশন ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : দেশের ৩৫ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষক নিয়োগের কর্মযজ্ঞ আজ সোমবার থেকেই শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। পঞ্চম ধাপের এ বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ চক্রে অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগ পেতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগে শূন্য পদে তথ্য দিতে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন ও ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ইরেজিস্ট্রেশন ও তথ্য হালনাগাদ চলবে। এসময়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিজস্ব প্রোফাইলও হালনাগাদ করতে হবে।

সোমবার বিষয়টি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এনটিআরসিএ। 

এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার সদস্য মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি) শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে এনটিআরসিএর প্রচলিত নিয়ম অনুসারে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের শূন্যপদের তথ্য-চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) অনলাইনে সংগ্রহ করা হবে। অনলাইনে চাহিদা প্রদানের (E-Requisition) পূর্বশর্ত হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আবশ্যিকভাবে ই-রেজিস্ট্রেশন (অনলাইন নিবন্ধন) কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। 

এনটিআরসিএ আরো বলছে, যেসব প্রতিষ্ঠান আগেই ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে তাদেরকে অবশ্যই ই-রেজিস্ট্রেশন প্রোফাইল হালনাগাদ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে ই-রেজিস্ট্রশন সম্পাদন না করলে বা প্রোফাইল হালনাগাদ না করলে অনলাইনে নিয়োগযোগ্য শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) দেয়া সম্ভব হবে না। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে ই-রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ই-রেজিস্ট্রেশন ফর্মের এডিট অপশনে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল হালনাগাদ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য অপরিবর্তিত থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানকে লগইন করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। নতুবা ই-রেজিস্ট্রেশন নবায় বা হালনাগাদ হবে না। এজন্য ২৯ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-রেজিস্ট্রেশন করা এবং পূর্বে ই-রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের নিজস্ব প্রোফাইলও হালনাগাদ করতে হবে। ই-রেজিস্ট্রেশন প্লাটফর্মে লগইন করার জন্য তাদেরকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড টেলিটক থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো হবে। ই-রেজিস্ট্রেশন প্লাটফর্মে লগইন করে তথ্য প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের (www.ntrca.gov.bd) ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ নামক সেবাবক্সে প্রদানকৃত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।  

কর্মকর্তারা বলছেন, ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে শুরু হবে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ বা ই-রিকুইজেশন প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে অধিদপ্তরগুলো সহায়তায় শূন্যপদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে জারি হবে গণবিজ্ঞপ্তি। তবে এ নিয়োগের পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি কবে জারি হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কোনো মন্তব্য করছেন না কর্মকর্তারা। তাদের আশা, বছরের মাঝামাঝি বা জুন মাসের আগেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। তবে তার আগে ই-রেজিস্ট্রেশন, শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করতে হবে। 

জানা গেছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সর্বশেষ বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। চতুর্থ ধাপে শিক্ষক নিয়োগের জন্য যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ৬৮ হাজার পদ শূন্য। এমপিওপ্রাপ্য এসব এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ করতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। কিন্তু মাত্র সাড়ে ৩২ হাজার পদে প্রার্থী নির্বাচন করা যায়। যেখান থেকে মাত্র ২৭ হাজার নতুন শিক্ষককে গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষাংশে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। যাদের কেউ যোগ দিয়েছেন, কেউ কেউ দেননি। নতুন শিক্ষকরা সবাই যোগদান করলেও ৪১ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্যই থাকছে। এসবের সঙ্গে যোগ হবে ২০২২ এর অক্টোবর থেকে ২০২৪ এর জানুয়ারি পর্যন্ত অবসরজনিত কারণে শূন্য হওয়া শিক্ষক পদ। এ হিসাবে প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধলক্ষাধিক পদ এখনো শূন্য। যা ষাট হাজার বলেও মত দিচ্ছেন কেউ কেউ। 

প্রসঙ্গত, শিক্ষক সংকট নিয়েই ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছিলো দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এসব প্রতিষ্ঠানে ২৭ হাজার নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলেও সংকট পিছু ছাড়েনি। এ বছর অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে শিক্ষক সংকট নিয়েই। 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত - dainik shiksha প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি - dainik shiksha আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির - dainik shiksha আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি - dainik shiksha পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039191246032715