ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ এখন পানিবন্দি। নতুন করে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও টাঙ্গাইলের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। দিনে দিনে বন্যাকবলিত এলাকার পরিধিও বাড়ছে। এ অবস্থায় ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।
পরীক্ষা পেছানো হবে কি না জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পরীক্ষা পেছানো নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে তা জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১২ জুলাই শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা হবে। পরদিন ১৩ জুলাই শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা নির্ধারিত ভেন্যুতে অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এনটিআরসিএ।
তবে বন্যাকবলিত এলাকার চাকরিপ্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষা পেছানো দাবি জানিয়ে আসছেন। প্রিলিতে উত্তীর্ণ হওয়া সুনামগঞ্জের আফরিন জানান, তাদের উপজেলায় প্রতিদিন পানি বাড়ছে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। এ অবস্থায় পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ চাকরিপ্রার্থী। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন পাস করেছেন।