মাগুরায় বুধবার ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে থাকা যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। শাহিনুর রহমান নামে ওই যুবক ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত মাগুরা শহরের আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী ওই যুবকের নাম শাহিন বলে নিশ্চিত করেছেন। সে শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে। তার নামে সদর থানায় নারী নির্যাতন, মাদক ব্যবসাসহ সুনির্দিষ্ট ৩টি মামলা রয়েছে। শাহিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মাগুরা পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া অবৈধ অস্ত্রধারী যুবক যেই হোক না কেন অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ মার্চ ৫৪ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রায় ৪ লাখ টাকা আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এরপর ওই দিন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন হলেও শাহিনকে স্থান দেওয়া হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ খান বলেন, সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এক যুবককে দেখা গেলেও সে ছাত্রলীগের কেউ নয়। তার পরিচয়ও আমাদের জানা নেই। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারী যুবকের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করার কয়েক মুহূর্ত আগে অভিযুক্ত শাহিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুলের সঙ্গে কথা বলছেন।