গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত আইইউটির শিক্ষার্থী জুবায়ের রহমান সাকিবকে তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর মুরারীপুরে দাফন করা হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় তার জানাজায় অংশ নেন সহপাঠী, বন্ধু, স্বজনসহ গ্রামের হাজার খানেক মানুষ।
তারা বলছেন, পিকনিক গিয়ে এভাবে মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনায় যার যার অবহেলা ও গাফিলতি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে যেন আর কোনো বাবা-মার বুক খালি না হয়, তাই এমন আয়োজনে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া উচিত।
শনিবার রাত ১১টার দিকে সাকিবের মরদেহ ফ্রিজার ভ্যানে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। এর পরে থেকে তার আত্মীয়দের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে তার বাড়ির পরিবেশ।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও স্কুল শিক্ষিকা ফজিলাতুন নেসার দ্বিতীয় সন্তান সাকিব। তার একটি বড় বোন আছে। মেধাবী ও নম্র ভদ্র হিসেবে এলাকায় তার বেশ সুনাম ছিল। ছোটবেলা থেকেই প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। সেই স্বপ্ন পূরণে ভর্তি হয়েছিলেন আইইউটিতে।
এর আগে, শনিবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে একটি পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পর্শে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) এর ৩ শিক্ষার্থী নিহত হন।
এদিকে এ ঘটনায় ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে তিন সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।