চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে সাতজন। নিহত মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল বেপারীর ছেলে।
গুরুতর আহত হয়েছেন ইমরান বেপারী (১৮) ও জহির কবিরাজ (৩৫) ছাড়াও আরও পাঁচজন। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত ইমরান নিহত বাবুর ছেলে ও জহির কবিরাজ বাহাদুরপুর গ্রামের মনু কবিরাজের ছেলে। আহত বাকি পাঁচজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
শনিবার বিকাল ৩টায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে গোলাগুলি হয়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মোবারক হোসেন বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সিগমা রশিদ জানান, গুরুতর আহত মোবারক হোসেনকে একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মারা যান। বাকি আহত দুজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
গুলিবিদ্ধরা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুসারী বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে, যারা গুলি করেছেন তারা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানের অনুসারী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সিগমা রশিদ জানান, রোগীকে একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মারা যান।
এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, মতলব সার্কেল ও মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।