রংপুরে বুধবার (২ আগস্ট) অনুষ্ঠেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে কিছু ব্যানার-ফেস্টুনকে ঘিরে জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গার আওয়ামী লীগে যোগদানের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। রাঙ্গা বলেছেন, ‘এটা সময়ই বলে দেবে।’
তবে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার কোনো প্রস্তাব তিনি দেননি। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দল থেকেও এমন কোনো প্রস্তাব তার কাছে আসেনি, জানান রাঙ্গা।
রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রাঙ্গা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ছাপানো পোস্টার মূলত সবার নজর কেড়েছে।
আর এ নিয়েই রংপুরজুড়ে গুঞ্জন, রাঙ্গা আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারেন। লোকমুখে সেই কথা ভেসে বেড়ালেও বাস্তবে এ নিয়ে জাতীয় পার্টি বা আওয়ামী লীগের কেউ মুখ খুলছেন না।
রাঙ্গা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে যে পোস্টার ছেপেছেন, তাতে তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ। আর পোস্টারে তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও দিয়েছেন। নিজের ছবি দিয়েছেন পোস্টারের নিচে।
রাঙ্গার পোস্টারে লেখা রয়েছে, “অবহেলিত রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনকে মডেল ও আধুনিক আসনে রূপান্তরিত করতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় রংপুরের পুত্রবধূ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রংপুর-১ আসনবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”
নগরীর জিলা স্কুল মাঠ থেকে শুরু করে ক্যান্টনম্যান্ট চেকপোস্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে রাঙ্গার ছবি সম্বলিত ফেস্টুনে সয়লাব হয়ে গেছে। এই পোস্টার-ফেস্টুন নিয়ে নগরীতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুরের সাংবাদিকদের রাঙ্গা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিন তিনি রংপুরে থাকবেন।
তবে আওয়ামী লীগের যোগদান বিষয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, রংপুরের উন্নয়নের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাই। আমি যখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলাম, তখন প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অনেক উন্নয়ন করেছি। আমি আমার দলকে বলেছি, তিনি যেন সম্মানের সঙ্গে রংপুরে আসেন এবং সসম্মানে চলে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু আমার আওয়ামী লীগে যোগদান করা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এ ধরনের কোনো প্রস্তাব তারাও (আওয়ামী লীগ) আমাকে দেয়নি। এ ছাড়া আমি কোথাও বলিনি যে আমি ওই জনসভায় থাকব। কারণ, সেটা তাদের দলীয় মিটিং।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য কোথাও এমপিদের নিয়ে ব্যক্তিগত মিটিং করতেন, সেখানে হয়তো সব এমপিদের নিয়ে আমি থাকতাম। কিন্তু জনসভায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি।
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, একটি বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ করা ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু আমরা সেখানে যাইনি, আমরা আলাদা দল করি। সংবিধানের ৭০ ধারাসহ নানাবিধ কারণে বুধবারের জনসভায় আমার আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।