‘খুনি শেখ হাসিনার বিচারসহ’ চার দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কেন্দ্রীয়ভাবে সকাল ১০টায় রাজধানী শাহবাগে মোড়ে জমায়েত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার প্রেরিত এক বার্তায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১৫ আগস্ট ঘিরে ‘ক্যু’ হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা পিলখানা হত্যা, ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার তাণ্ডব, শাপলা চত্বরে রাতের অন্ধকারে আলেম ও মাদরাসা ছাত্র হত্যা, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করাসহ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হাসিনার বিচারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়া চট্টগ্রামের নিউমার্কেটে সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। রাজশাহীর তিনটি পয়েন্টে তালাইমারী, রেলগেট এবং সিএন্ডবি মোড়ে জড়ো হবেন ছাত্রজনতা। সেখান থেকে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি পালিত হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, তারা বুধবার রাত থেকে ধানমন্ডি ৩২ ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্র বা অস্থিতিশীল পরিবেশ অস্বাভাবিক গতিবিধি যেন না হয়, সেজন্য পাহারায় থাকবেন। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোটিল ইনস্টিটিউট অব আইটিসহ ধানমন্ডির আশেপাশের সকল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের তারা ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আওয়ামী সরকারের সময়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত হত, দিনটি সরকারি ছুটি ছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রীসভা এই ছুটি বাতিল করেছে।
কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তবে এখনও প্রতিবিপ্লবের আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য গত তিনদিন থেকে মাঠে রয়েছেন তারা। গত সোমবার তারা ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ ঘোষণা করেছেন। প্রতিদিনই তারা সারা দেশে নানা কর্মসূচি পালন করছেন।