যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা। আমরা বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। উদ্যোগ নিয়েছি, ঢাকাসহ আটটি বিভাগে বড় আকারে আটটি জব ফেয়ার আয়োজন করার। পৌনে দুইশ প্রতিষ্ঠান এসব জব ফেয়ারে অংশ নেবেন।
রোববার প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর জেলা প্রশাসকের আয়োজনে শহরের রাজবাড়ী মাঠে দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে সারা বাংলাদেশে আমরা ৬৬ লাখ যুবককে ট্রেইনিং দিয়েছি। তাদের মধ্য থেকে প্রায় ৪৫ শতাংশ যুবকের কর্মসংস্থান করতে পেরেছি। ৩০ হাজার যুবককে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করেছি। আমাদের দেশে প্রায় ২২ হাজারের অধিক রেজিস্ট্রার ও তালিকাভুক্ত যুব সংগঠন রয়েছে। আমরা প্রতিবছর তাদেরকে ৪০-৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়ে থাকি এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার যুব সংগঠনকে এ ধরনের অনুদান দিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের নিজস্ব টাকা থেকে এ যাবৎ প্রায় দুই হাজার তিনশ কোটি টাকা আমাদের যুব সমাজ যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে, তাদের যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় তার জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করেছি।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদা সিকদার, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এবিএম ইসমাইল হোসেন খান, নোমান গ্রুপের সিইও মো. কায়সার ইসলামসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মেলার আয়োজক গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের গাজীপুরে প্রচুর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চাকরী প্রার্থী ও চাকরিদাতার মধ্যে যাতে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য এ মেলার আয়োজন করেছি। আজকে এ মেলার মাধ্যমে কোন তদবির ছাড়াই যোগ্যতা অনুযায়ী অনেকের সরাসরি চাকুরি নিয়োগপত্র পেয়েছেন। আবার অনেককে চাকরি জন্য তালিকাভুক্ত করে রেখেছেন। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনের সময় ওই তালিকা থেকে তারা নিয়োগ দেবেন।