বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রাচীন জংশন বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার। এই জংশন ঘেঁষে পশ্চিম দিকে রয়েছে পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই রেল জংশন স্টেশনে সম্প্রতি প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কারণে বেকায়দায় পড়েছে এই ওয়ার্ডের প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা। স্টেশনের নিরাপত্তা বেষ্টনীর (বেড়া) কারণে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে হার্ভে ও কলসা বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ওয়ার্ডটিতে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় সন্তানদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন অভিভাবকরা।
ওয়ার্ডটিতে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী ৮ শতাধিক শিশু থাকলেও নেই কোনো সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দূরের বিদ্যালয়গুলোয় যেতে চায় না শিশুরা। ফলে এলাকাটিতে শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নীতিমালার আলোকে এই ওয়ার্ডটিতেও একটি বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সান্তাহার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডটি ঘোড়াঘাট, চা-বাগান সিভিল কালোনি, চা-বাগান রেল কলোনি, হাসপাতাল কলোনি, স্টেশন কলোনি, নিউ কলোনি, জন কলোনি এবং সুইপার কলোনি নিয়ে গঠিত। ওয়ার্ডটিতে মোট জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ওয়ার্ডটির প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নেই। ফলে শিশু শিক্ষর্থীরা স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। চা-বাগানের বাসিন্দা সান্তাহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টু বলেন, এই ওয়ার্ডে শতাধিক শিক্ষক বসবাস করেন। অথচ এখানে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল কুদ্দুস জানান, রেলওয়েভিত্তিক এই ওয়ার্ডের পূর্বদিকে জংশন স্টেশন, উত্তর ও পশ্চিমে মহাসড়ক থাকার কারণে শিশুদেরকে ঝুঁকি নিয়ে অন্য ওয়ার্ডের স্কুলে পাঠাতে হয়। ফলে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করেন। স্কুল নির্মাণের প্রচেষ্টা থাকার পরও প্রয়োজনীয় জমি না পাওয়ার কারণে স্কুল করা যায়নি। তবে এই ওয়ার্ডে স্কুল প্রতিষ্ঠা করার মতো সরকারি খাসজমি রয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নিলেই স্কুল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।