১০ লাখ ৪১ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষা আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে। ঢাকা, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী, যশোর, সিলেট ও দিনাজপুরে বোর্ডের এসব শিক্ষার্থীর এইচএসসি শুরু হচ্ছে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে। আর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি বিএম, বিএমটি, ভোকেশনাল ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা আগামী ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে এ তিন বোর্ডের ৩ লাখ ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
পরীক্ষা শুরু আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র প্রবেশ করতে হবে। তারা মুঠোফোন সঙ্গে আনতে পারবেন না। পরীক্ষা কেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এইচএসসিতে পরীক্ষার্থীরা নন-প্রোগ্রামেবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
শিক্ষা বোর্ডগুলো বলছে, পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথম বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক অংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় হবে ৩০ মিনিট। আর সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় হবে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ব্যবহারিকসহ বিষয়ের পরীক্ষায় ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় হবে ২৫ মিনিট। আর সৃজনশীল বা রচনামূলক অংশের সময় হবে ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। তবে, আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। এ পরীক্ষার নম্বর কমেছে। পরীক্ষা বিরতীহীনভাবে চলবে। বহুনির্বাচনী বা রচনামূলক অংশের মধ্যে কোনো বিরতী থাকবে না।
বোর্ডগুলো আরো জানিয়েছে, সকাল দশটায় অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাড়ে নয়টায় উত্তরপত্র ও ওএমআর শিট বিতরণ করা হবে। দশটায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেয়া হবে। সাড়ে দশটায় ওএমআর শিট সংগ্রহ করে সৃজনশীল প্রশ্ন বিতরণ করা হবে। আর দুপুর দুইটার পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেড়টায় উত্তরপত্র ও ওএমআর শিট বিতরণ করা হবে। দুইটায় দেয়া হবে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন। আর আড়াইটায় ওএমআর শিট সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র দেয়া হবে। কলেজগুলো মাধ্যমে প্রবেশ পত্র ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্রে তার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা বা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীদের তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রের উল্লেখিত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। অন্য বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রোগ্রামেবল বা প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মুঠোফোন নিয়ে আসতে পারবেন না।
এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। গতবছর পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫৬ জন বেড়েছে। ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি, ৯৮ হাজার ৩১ জন শিক্ষার্থী আলিম ও ১ লাখ ৫২ হাজার শিক্ষার্থী এইচএসসি বিএম, বিএমটি ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ২ হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে মোট ৯ হাজার ১৬৯ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। গত বছরের তুলনায় এবার ৯টি কেন্দ্র বেড়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কমেছে ১২টি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।