সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে রোববার মধ্যরাতে বিক্ষোভের পর এবার স্লোগানের পাল্টা জবাবে মাঠে অবস্থান নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রতিটি হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের দলীয় ট্রেন্ট থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক ও পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে আবারও একই স্থানে এসে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় নেতাকর্মীরা ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, রাজাকার গেলি কই’, ‘রাজাকারের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
ছাত্র সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, যে শব্দটাকে আমরা শৈশব থেকে ঘৃণিতভাবে জেনে এসেছি সেই রাজাকার শব্দটিকে গতকাল রাতে এই বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে কিছু মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থী গর্বভরে উচ্চারণ করেছে। তাদের এহেন কর্মকাণ্ডে সারাদেশের ছাত্রসমাজ লজ্জিত হয়েছে। ৭১ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধ হয়েছিল রাজাকারের বিরুদ্ধে, আজ ইবি শাখা ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে ঘোষণা দিতে চাই, এই বাংলার মাটিতে আরেকবার রাজাকার নামের স্লোগান শুনলে নব্য রাজাকারদের সমূলে উৎপাটন করা হবে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, মীরজাফর ও রাজাকার শব্দগুলো আমরা একই অর্থে ব্যবহার করি। যারা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানিদের অনুগত হয়ে নিরিহ বাঙ্গালিকে হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম লুট করেছে তারাই সেই ঘৃণিত রাজাকার গোষ্ঠী। স্বাধীনতার এতবছর পর গতকাল রাতে যারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান দিয়েছে তাদের প্রতি আমরা ধিক্কার জানাই।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি তাদের আসল স্থান ওই পাকিস্তানে। যারা শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুঁজি করে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছেন তাদের কঠোর হুঁশিয়ার করে দিতে চাই।