আন্দোলনে গুলিতে ছাত্র নিহত: মামলা না নেওয়ায় মধ্যরাতে থানা ঘেরাও - দৈনিকশিক্ষা

আন্দোলনে গুলিতে ছাত্র নিহত: মামলা না নেওয়ায় মধ্যরাতে থানা ঘেরাও

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের সময় খালিদ সাইফুল্লাহ নামে এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা শনিবার রাতে লালবাগ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ গড়িমসি শুরু করে। মামলা রুজু করতে রাজি না হওয়ায় দেড় শতাধিক এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে রাত সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় অবস্থান করছিলেন। 

লালবাগ থানার ওসি খন্দকার হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহতের পরিবার রাতে থানায় মামলা করতে আসে। যেহেতু হত্যা মামলা, তাই তাদের বলেছি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মামলা রুজু করতে হবে। এজন্য রোববার সকালে আসতে বলা হয় তাদের। কিন্তু তারা এতে রাজি নন। লোকজন এসে মামলা নিতে চাপ দিতে থাকে। 

নিহত খালিদ সাইফুল্লাহ একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাসা লালবাগ থানার রসুলবাগে। গত ১৮ জুলাই আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করে পরিবার। 

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে থানায় গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়। এ কারণে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলাকাবাসীসহ নিহতের বাবা মামলা করতে থানায় যান। পুলিশ মামলা না নেওয়ায় এলাকাবাসী থানায় ভিডিও করে রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ভিডিওতে এক তরুণকে বলতে শোনা যায়, সাইফুল্লাহর বাবা শুক্রবার মামলা করতে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। আজকেও (শনিবার) মামলা করতে এসেছিলেন, তাও নেওয়া হয়নি। ওসি আওয়ামীপন্থি হওয়ায় মামলা নিচ্ছেন না। কিন্তু মামলা রাতেই নিতে হবে। অন্যথায় আরও শিক্ষার্থী থানায় আসবেন। মামলা না নেওয়া পর্যন্ত তারা থানা থেকে যাবেন না। 

অপর এক তরুণ বলেন, সাইফুল্লাহ শহীদ হয়েছেন। তাঁর বাবা মামলা করতে এসে কেন বারবার ঘুরবেন। বিচার চাইতে এসে কেন হয়রানির শিকার হতে হবে। আজিমপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ সেদিন নির্বিচারে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছুড়েছে। 

থানার এক কর্মকর্তা জানান, লোকজন জড়ো হওয়ার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন যোগ্য নয়, আগেরটায় ফেরার চেষ্টা করবো : শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন যোগ্য নয়, আগেরটায় ফেরার চেষ্টা করবো : শিক্ষা উপদেষ্টা অভিভাবক শূন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্রুত পদায়ন - dainik shiksha অভিভাবক শূন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্রুত পদায়ন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা - dainik shiksha সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা পিএসসির সামনে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর ফলপ্রত্যাশীদের অবস্থান - dainik shiksha পিএসসির সামনে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর ফলপ্রত্যাশীদের অবস্থান প্রাণ রক্ষার্থে সেনানিবাসে আশ্রয় নেয় ৬২৬ জন - dainik shiksha প্রাণ রক্ষার্থে সেনানিবাসে আশ্রয় নেয় ৬২৬ জন ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ছাত্র ইমন মারা গেছেন - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ছাত্র ইমন মারা গেছেন শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা: তদন্তের নির্দেশ - dainik shiksha শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা: তদন্তের নির্দেশ বাংলাদেশে ‘হিন্দু নির্যাতন’ নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে : বিবিসি - dainik shiksha বাংলাদেশে ‘হিন্দু নির্যাতন’ নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে : বিবিসি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036020278930664