বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ছাত্রীরা গর্বের জায়গা। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রীরা বেরিয়ে এসেছেন। এটা প্রসংশনীয়। এমনটি আমি কোনোদিন দেখিনি। ছাত্রীদের স্পিরিট, ডেডিকেশন সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতো। আমি দেখেছি চারজনকে একসঙ্গে ডিবি অফিসে নিয়ে গেছে তারপরও তারা অবিচল ছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে, সব সময়। যখনই প্রয়োজন হবে আমার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করবে। সমস্যার কথা বললে আমরা চাইবো, জানতে, বুঝতে সমস্যাটা কোথায় এবং সেখানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবো।
তিনি বলেন, গতানুগতিকভাবে চলার সময় এটা না, আমাদের ইয়ং জেনারেশনের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেক। ওদের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমাদের চলতে হবে।
আমি যখন ছাত্র ছিলাম, তখন আমরা কিন্তু এতো বুদ্ধিমান ছিলাম না, তখনো ভাবতাম পৃথিবীটা বইয়ের পাতায়। আমি তখনো ভাবতাম পৃথিবীতে সবার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে আজকেও ভাবি অনেক কিছু শিখি। ইয়ংদের কাছ থেকে বিশেষ করে, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা এগিয়ে যাবো একসঙ্গে, টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে এগিয়ে যাবো।
অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশনকে সব সময় বলা হতো তদারকি সংস্থা, এখনো বলা হয়। আমরা এটা করতে চাই না, এটা সহযোগী সংস্থা, এটা একটি টিম ওয়ার্ক। আমরা টিম নিয়ে কাজ করবো। এই সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটিসহ সবগুলো টিমের অংশ।
অনুষ্ঠানে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, পুরান ঢাকার নারী শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। এখন এটা সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে।
সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. পারভীন হাসান বলেন, শিক্ষা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।
ট্রেজারার ড. আহমেদ আবদুল্লাহ জামাল বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে ইউজিসি'র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, নারীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরু করে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।