গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হন নাজমুল হাসান। তার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
নাজমুল রাজধানীর আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টসের কর্মী ছিলেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং ৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তা পত্রিকায় ‘কেউ খবর রাখেনি শহীদ নাজমুল হাসানের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর গত শুক্রবার গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে শহীদ নাজমুলের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে ও আর্থিক সহযোগিতায় আসেন জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধার জেলা আমির মো. আব্দুল করিম সরকার ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার থানা আমীর এরশাদুল হক ইমন, থানা সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, থানা তারবিয়াত সেক্রেটারি এম এম শাফিউজ্জামান সুমন, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম,শাহজাহান, রোকন আনোয়ার হোসেন, আনছার আলী, এ ছাড়া স্থানীয় দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশে মানবতার কল্যাণকামী সংগঠন হিসেবে বসে থাকতে পারে না, আমাদের দায়িত্ব আছে এসব শহীদ ভাই-বোনদের পরিবারের জন্য। এই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমরা শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। একই সঙ্গে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সবাইওক কাজ করার আহ্বান ও জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং কবর জিয়ারত করে তার মায়ের হাতে এক লাখ টাকা নগত আর্থিক সহায়তা দেন।