বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ জামে মসজিদ ভবণ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙা গ্রামে মসজিদ নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ।
এসময় আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ, কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন খান তারেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল হোসেন আরজুসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আবরার ফাহাদ যখন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, তখন পরিবারটিতে নতুন আশার সঞ্চার জেগেছিল। কিন্তু ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৬ অক্টোবর রাতে সব আশা-আকাঙ্খা শেষ হয়ে গেছে। ওই রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। সারা দেশের মানুষকে নাড়া দিয়েছিল এ ঘটনা।
এর আগে গত ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অক্টোবর বিকালে ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। এর জেরে পর দিন রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়।
নৃশংস এই হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। এর পর চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামিসহ মোট ২৬ ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। দেশব্যপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্র রাজনীতিও।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।