সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবেদনের যোগ্যতায় জিপিএ বাড়ানোতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪ হাজার। আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে জিপিএ-৮ পেলে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করা যেতো। এবার জিপিএ বাড়ানো হয়েছে। যাদের জিপিএ-৯ ছিলো তারা আবেদন করতে পেরেছেন।
শুক্রবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে পরীক্ষা হওয়ায় এবার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ট্র্যাকিং ডিভাইস যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরও জানান, এবারও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। মোট আবেদনকারীর মধ্যে ৫৪ শতাংশ মেয়ে এবং ৪৬ শতাংশ ছেলে। সেই হিসেবে ছাত্রীর সংখ্যা ছাত্রদের চেয়ে প্রায় সাড়ে দশ হাজার বেশি। গত কয়েক বছরে দেখা গেছে পাসের ক্ষেত্রেও মেয়েরা এগিয়ে থাকে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় একযোগে রাজধানীর ৫টি কেন্দ্রসহ দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলে এক ঘণ্টা।
দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৩ হাজার ৩৮৪ জন মেধাতালিকায় এবং ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে ৩ হাজার ৩৮৪ জন প্রার্থী মেধাতালিকা থেকে নেয়া হবে। এছাড়া জেলা কোটায় ৮৪৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭ জন ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ৩৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
বেসরকারি ৭১টি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ৭৭২টি আসনের জন্য উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থী মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন।