স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ৩০ হাজার চিকিৎসক রয়েছেন। যার মধ্যে আমার মন্ত্রিত্বের সময়ই ১৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ার শুভ্র সেন্টারে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে আগে নার্সের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার, তবে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে। নানা জটিলতায় যে সকল চিকিৎসক ও নার্সদের পদোন্নতি হচ্ছিল না, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হবে। এছাড়া সকল শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একটি পদও আর শূন্য বা খালি থাকবে না।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, মানুষের মধ্যে বাল্যবিবাহ নিয়ে আলোচনা করতে হবে। বাল্যবিবাহই মা ও শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ। কেননা অল্প বয়সি শিশু যদি গর্ভবতী হয়, তাহলে তার মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এজন্য এ বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় কিডনি ও ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হতো। কিন্তু এখন আটটি বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতালে প্রায় চার হাজার বেডে কিডনি, ক্যানসার ও হার্টের চিকিৎসা দেওয়া হবে। যার কাজও প্রায় শেষ। জেলা পর্যায়ের সকল হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ ও ১০ বেড়ের ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যা চলতি বছরই সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে আমাদের পরিচালনা করার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন, পরিচালক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ্, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. বাহা উদ্দিন, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, আওয়ামী লীগের সদর উপজেলার সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিন সরকারসহ আরও অনেকে।