সরকারি চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও কোটাব্যবস্থার সংস্কার দাবি, এই দুই বিষয় নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজপথ এই দুই ইস্যু নিয়ে উত্তাল ছাত্রসমাজ।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন ৩০তম বিসিএসের কাস্টমস কর্মকর্তা ও জনপ্রিয় ক্যারিয়ার বিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল।
শুক্রবার (১২ জুলাই) তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। (আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে।) এসব নিয়ে আমি আপনার মনের মতো করে লিখব না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমায়েশের চাকর নই।’
পোস্টে তিনি বলেন, ‘এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান, তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই। আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন।’
পোস্টের শেষে তিনি সুশান্ত পাল বলেন, ‘আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না যে, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’
পোস্টের কমেন্ট বক্সে সুশান্ত পাল আবার লিখেছেন, ‘এখানে যারা উলটাপালটা কমেন্ট করছ এত সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার পরও, তোমাদের তো কোটা নিয়ে এত দুঃখ থাকার কথা নয়। তোমরা তো এমনিতেই চাকরি পাবে না—কোটা থাক না থাক; আরে ভাই, প্রিলিমিনারিই তো পাস করতে পারবে না! লজ্জাশরম ও পড়াশোনা থাকলে নিশ্চয়ই এখানে পড়ে থাকতে না।’
সুশান্ত পালের দেয়া ফেসবুক পোস্টে ১৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার রিঅ্যাক্ট পড়েছে।
এর আগে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ফেসবুকে অশোভন মন্তব্য ও কটূক্তির অভিযোগে সুশান্ত পালকে তাৎক্ষণিকভাবে (স্ট্যান্ড রিলিজ) বদলি করা হয়।
একইসঙ্গে তার মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয় প্রজ্ঞাপনে।