দেশের আরও অর্ধলক্ষ শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় আনা হচ্ছে। টাকার অভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যাতে শেষ না হয়ে যায় এ জন্য সরকার ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ পলিসি চালু করে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার শিক্ষার্থী এর আওতায় আছে। আরও ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে এ বীমার আওতায় আনতে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। প্রতি জেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মাদরাসা ও একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এ বীমার আওতায় আনা হবে।
এ বীমার আওতায় আনতে প্রতিটি জেলা থেকে একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক উপপরিচালকদের।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ প্রবর্তন করা হয়। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ বীমা দিবসে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক, কারিগরি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বীমার আওতাভুক্ত করতে ২০২১-২২ অর্থবছরে পরিকল্পটির পাইলটিং করা হয়। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বছরে ৮৫ টাকার প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বীমাভুক্ত করা হয়েছে। অভিভাবকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বা নির্দিষ্ট কিছু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মাসিক ৫০০ টাকা হারে শিক্ষার্থীদের ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষা বীমা সুবিধা দেয়া হয়। পাইলটিংয়ের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বিমা পরিকল্পটির আওতায় বীমাভুক্ত হয়েছে।
গত ২ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও জীবন বীমা কর্পোরেশনের সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী আরও ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে নতুন করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী নতুন ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে এ বীমার আওতায় আনতে প্রতিটি জেলা থেকে একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দাখিল মাদরাসা বাছাই করে শিক্ষার্থী তথ্য প্রয়োজন। এধরনের কোএডুকেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করে সেগুলোর তথ্য বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগকে বলা হয়েছিলো।
সে চিঠির আওলাকে গত ২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে একটি সরকারি স্কুলের তথ্য পাঠাতে বলা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সে আলোকে গত সোমবার আঞ্চলিক উপপরিচালকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে অধিদপ্তর। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় আনতে প্রতিটি জেলা থেকে একটি কো-এডুকেশন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর তথ্যসহ সমন্বিত আঞ্চলভিত্তিক তথ্য ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক উপপরিচালকের কার্যালয়কে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী বাছাইয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।