পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা আরও তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৯ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামুনুল হকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। মামুনুল হকের আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন ও আবু রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।
মামুনুল হকের আইনজীবীরা জানান, হেফাজতে ইসলামের সাবেক এ নেতার বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। আজ আরও তিন মামলায় তিনি জামিন পেলেন। মামুনুল হকের কারামুক্তির জন্য আরও ২১ মামলায় জামিন পেতে হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার হাইকোর্ট মামুনুল হককে যে তিন মামলায় জামিন দিয়েছেন, সেগুলো সব ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে দায়ের করা। মামলাগুলো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের অভিযোগের মামলা। তিন মামলার মধ্যে দুটি সিদ্ধিরগঞ্জ ও একটি সোনারগাঁও থানার।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।
মামুনুলের বিরুদ্ধে ৪১ মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দুটি মামলা রয়েছে।