ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, পৃথিবীতে কোনো সমস্যাই সমাধানের ঊর্ধ্বে নয়। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা যায়। কোটা আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি মানুষের সমর্থন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহল যদি আলোচনায় বসে তাহলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। শনিবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
শুক্রবার (৫ জুলাই) প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় যে, সব বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে। এটা একটা সংকটজনক পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুতই আলোচনায় বসতে হবে।
ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বলেন, আন্দোলনকারীরা শুরু থেকেই কোটা প্রথা সংস্কারের কথা বলেছিল। কোটা সংস্কার, রহিত কিংবা কিছু পরিবর্তনের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় করবে। আমার মনে হয়, সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল যদি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাহলে দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সাবেক এই উপাচার্য বলেন, বিষয়টি যেহেতু উচ্চ আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে, তাই চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এভাবে তাৎক্ষণিকভাবে আন্দোলন শুরুর আগে আলাপ-আলোচনার একটা পর্যায় রাখা উচিত ছিল। সেটা আন্দোলনকারী এবং সরকার উভয় পক্ষের জন্যই প্রযোজ্য। আর আদালতের রায় মানা আমাদের সবার জন্য বাধ্যতামূলক। আদালতের রায় মেনেই আপিল করা যায়। বিচার বিভাগে সেই প্রক্রিয়া রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোটা সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের দুটি প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে। আদালতে আপিল করা যেমন একটি প্রক্রিয়া, আলাপ-আলোচনাও এক ধরনের প্রক্রিয়া। হুট করে আন্দোলনে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। সেটিও পরিহার করা প্রয়োজন। প্রতিদিন রাস্তাঘাট আটকে সাধারণ মানুষকে শাস্তি দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। কোটা আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে এভাবে হয়রানি করা সমীচীন হচ্ছে না।