সবাই আন্তরিক হলে বিচারপ্রার্থী মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের ওপর আস্থার কমতি যেটা হয়েছে, এটা শুধু বিচারকদের জন্য- তা নয়। বিচার বিভাগের সঙ্গে জড়িত সবাই যদি আন্তরিক হয় তাহলে বিচারপ্রার্থী মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।
বুধবার দায়িত্বভার গ্রহণের পর সুপ্রিম কোর্টে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারপ্রার্থী কে কখন হবে কেউ বলতে পারে না। আপনার ঘরে কখন ঝামেলা আসবে, আমার কখন ঝামেলা আসবে আমরা তো কেউ জানি না। আসলে আমাদের কোর্টের শরণাপন্ন হতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিচার বিভাগ এটা আমি মনে করি না। বিচারকরা বিচারকদের কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের মতো করে। আমি শুধু একটি কথা বলবো, যারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, আমাদের আইনজীবী বন্ধুরা যারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন- তারা রাজনীতিটা করুন কিন্তু আদালন অঙ্গনে তারা যেন সহনশীলতার পরিচয় দেন। তারা যেন একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। তাহলে এই উত্তাপগুলো আদালতে ছড়াবে না। সমাজের রাজনৈতিক বিষয়গুলো সম্বন্ধে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না এবং এটা আমার বিষয়ও না। আমাদের সামনে যখন বিচার আসে, কোনো একটি মামলা আসে, সেটা আমাদের এবং অধঃস্তন আদালতে নিষ্পত্তি করতে হয়।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আস্থার ঘাটতি সর্বত্রই আছে আমাদের। বিচার বিভাগের ওপরে আস্থার ঘাটতি নেই এ কথা আমি বলবো না। আমাদের ওপরে আস্থার যেটা আপনারা বলছেন, এখনো আপনার কোনো অসুবিধা হলে আপনি কোর্টেই যাবেন। আমাদের ডিসপোজালের রেট কিন্তু দিনের পর দিন বাড়ছে। মানুষের যদি আস্থাই না থাকবে, মানুষ কোর্টে আসবে কেন! আস্থা আছে বলেই মানুষ কোর্টে আসে। হ্যাঁ, তবে, আস্থা হান্ড্রেড পারসেন্ট আছে এ কথাটা আমি বলতে পারব না। এটা বলার মতো অবস্থায় আমরা নেই। যেমন আমি বলেছি, কোনো সেক্টর নেই যেটার ওপর মানুষের আস্থার কমতি হয়নি।’