ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলাকারীদের গ্রেফতারে সরকারের দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে তারা এ মানববন্ধন করেন।
এর আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা 'বিচারপতিদের প্রহসন মানিনা মানবোনা', 'দালাল বিচারপতিদের অপসারণ করতে হবে', 'ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে', 'সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'আওয়ামীলীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান'সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজ্জাদতুল্লাহ শেখ বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্রলীগ-আওয়ামীলীগ সর্বত্র নৈরাজ্য চালিয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে হামলা করেছে।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেনো ছাত্রলীগ-আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। যাদের হাতে আমাদের ভাইদের রক্ত লেগে আছে এখনো তারা বহাল তবিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আমরা এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে প্রশাসন ও বিচার বিভাগে বসে থাকা সব স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারে দাবি জানাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে বহু মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছে। খুনি শেখ হাসিনা এরকম হাজারো মেধাবীদের জীবন কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু সেইসব সন্ত্রাসীদের এখনো বিচারের আওতায়ও নিয়ে আসা হচ্ছে না। এই আওয়ামী দোসররা এখনো আদালতে বিচারকের আসনে বসে আছে। হাইকোর্টে যেইসব আওয়ামীলীগ বসে আছে তাদের দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। আর না হয় আমরা তাদের পদত্যাগের ব্যবস্থা করবো।
আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্নভাবে এই সরকারকে বিপদে ফেলা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সিন্ডিকেট করে বাজার ব্যবস্থা অস্থির করে তোলা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন এখনো তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতেছে না। দেশ সংস্কারে যারা বাঁধা দেবে তাদের আমরা বিগত স্বৈরাচারের মতো উপড়ে ফেলবো। যারা গণহত্যাসহ সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো।