ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের জন্য তথ্য চেয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে তথ্য জামা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের উপ রেজিস্ট্রার রাশিদুজ্জামান খান টুটুলের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা যায়।
এতে বলা হয়েছে, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই ছাত্রীর কাছ থেকে পাওয়া দুটি অভিযোগপত্র বিবেচনায় নিয়ে এবং ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একটি গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই বিষয়ে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা লিখিত আকারে কিংবা সশরীরে আইন বিভাগের সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলের অফিসে ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে জমা দিতে বলা হলো। তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, তদন্তের সাপেক্ষে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়েছি। প্রশাসন থেকে তদন্তের স্বার্থে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলসহ চার জায়গায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী ও গণরুমের মেয়েদের বক্তব্য শুনেছি। ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের ডাকা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার দিনের সংশ্লিষ্ট স্থানের সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আহসানুল হক বলেন, টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে ডাইনিংয়ে স্থাপিত ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়নি। তবে আইসিটি সেলকে বিষয়টা জানানো হয়েছে। আমরা আরও তদন্ত করবো।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন তাদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন আদালত। সে অনুসারে তারা জনস্বার্থে রিট করেন।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার অভিযুক্তরা হল ছাড়েন।