ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থলের কক্ষ পরিদর্শন এবং হলের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনেছে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে আসে এ তদন্ত কমিটি। গত বৃহস্পতিবার এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি শেষে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। আদেশে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এরপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রাশসক।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শাহেদ আরমান বলেন, সোমবার থেকে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটিও গণরুমের শিক্ষার্থীদের থেকে বক্তব্য শুনেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শার্মা বলেন, আমরা তদন্তের কাজেই ছিলাম। সবার (শিক্ষার্থী) কথা তো আমরা নিতে পারি না। ওদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করতেই আমাদের সময় লেগেছে। আমরা পাঁচ-ছয়জন আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। আর তদন্তের বিষয়ে এ মুহূর্তে কিছু জানাতে পারছি না।
বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, ‘যাদের আমরা সংশ্লিষ্ট মনে করেছি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভির বিষয়টি তদন্তের সময় বলতে পারি না। কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেই পৌঁছে দেব।
প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নবীন এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পরদিন ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী।