ইসরায়েলের ফিলিস্তিন ও আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টকারী যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি সার্বভৌম ও কার্যকর রাষ্ট্রের জন্য ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মঙ্গলবার জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ কথা বলেন। সম্প্রতি জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে সংঘটিত ইসরায়েলের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে এই সভা হয়।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনা, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোডম্যাপ অনুযায়ী ফিলিস্তিন ইস্যুতে ব্যাপক ও টেকসই সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশ তার নীতিগত অবস্থান অব্যাহত রেখেছে বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। ২০২২ সালে ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনের নাগরিক ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন, যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সম্প্রতি ইসরায়েলের নতুন সরকার গঠনের পরপরই জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী বেন গভির পবিত্র আল আকসা মসজিদ পরিদর্শন করেছেন। যা অত্যন্ত উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার তা জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের স্থায়ী শান্তিপ্রক্রিয়াকে আরও দূরে ঠেলে দেবে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা ও আগ্রাসন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়ে চলেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নতুন বৈশ্বিক সংকট এবং অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের গুরুতর পরিস্থিতি থেকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ যাতে সরিয়ে না নেয়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।