রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বরে কথা-কাটাকাটির জেরে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. লিমন মিয়া (১৮)। লিমন উত্তরার আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে লিমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উত্তরার দুটি বেসরকারি মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত সোয়া ১০টায় মৃত ঘোষণা করেন।
লিমনের বাড়ি জামালপুর জেলার সদর থানার গৈনাতপুর এলাকায়। তাঁর বাবা আব্দুল খালেক একজন অটোরিকশাচালক। লিমনের আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে ৫ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে লিমনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
নিহত লিমন মিয়ার বন্ধু দ্বীপ বলেন, আমরা উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডে জহুরা মার্কেটের সামনে থেকে চা পান করে বাসায় ফিরছিলাম। এ সময় এলাকার কয়েকজন ওবায়দুর ও মমিনুলসহ তিনজন 'বখাটে' ছেলে লিমনকে ডাক দেয়। তাদের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় লিমনকে গালিগালাজ শুরু করে। পরে লিমন গালাগালির কারণ জানতে চাইলে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এর মধ্যে ওই 'বখাটেরা' ধারালো অস্ত্র লিমনের বুকে ঢুকিয়ে দেয়। দ্রুত লিমনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দ্বীপ আরও বলেন, ওরা এলাকার 'বখাটে', এজন্য লিমনের মা তাদের সঙ্গে চলাফেরা করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু আজ লিমনকেই তারা মেরে ফেলল।
ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য কাজ চলছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া বলেন, এরই মধ্যে ঘটনাটি উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।