দৈনিকশিক্ষাডটকম, ঢাবি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের সমাবেশ। সেখানে সারাদেশ থেকে একত্রিত হয়েছেন দলটির বিভিন্ন শাখা-ইউনিটের নেতা-কর্মীরা। তাদের নিয়ে আসা ব্যক্তিগত পরিবহনের পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভাড়ায় বাস, ট্রাক ও পিকআপের স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নেতাকর্মীদের পরিবহনের ভিড়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তৈরি হয় তীব্র যানজট।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, দোয়েল চত্বর থেকে বাংলা একাডেমির সামনের পুরো রাস্তায় বহিরাগত যানবাহন স্ট্যান্ড করা হয়েছে। এছাড়া, রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বাস স্ট্যান্ড করা হয়েছে। এতে টিএসসি এলাকা, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গেট থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হলের পাশের রাস্তায় তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম যানজটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচটি নিরাপত্তা বক্স চালু করা হলেও সেগুলোতে কোনো দৃশ্যত কার্যক্রম নেই। মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ, শাহবাগ, পলাশী, শহীদুল্লাহ্ হলের সামনে বক্স ঘুরে কোন নিরাপত্তা কর্মীকে দেখা যায়নি। ফলে, অবাধে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে বিভিন্ন যানবাহন। এতে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাসিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, যে দলই উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন করে তার ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাসে যত্রতত্র বাস, ট্রাক পার্কিংয়ে আমাদের চলাচলের বাধা হয়ে দাড়ায়। বহিরাগতদের ভিড়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় আমাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ ও জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তন্ময় কর্মকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এমনিতেই হলের খাবার যথেষ্ট মানসম্পন্ন নয়। কিন্তু উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন হলে বহিরাগতদের ভিড়ে সেই খাবারটুকুও চলে যায় আমাদের নাগালের বাইরে। বহিরাগতদের কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি খাবার তারাই খেতে পারে না। তার ওপর চলাচলেও বাধার সম্মুখীন হতে হয়। ক্যাম্পসের ভেতর এসব পরিবহন প্রবেশ, পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যকরী হস্তক্ষেপ আশা করি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন, আমরা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বক্সের দায়িত্বরত কর্মচারীদের সাহায্যে যানবাহনগুলো গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।
ক্যাম্পাসের পরিচ্ছনতার ব্যাপারে বলেন, সমাবেশ শেষ হওয়া মাত্রই সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হবে।