উপবৃত্তি পাওয়ার কথা থাকলেও তা না পাওয়া খুদে শিক্ষার্থীরা অবশেষে টাকা পাচ্ছেন। সরকারি সার্ভারে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও তাদের অ্যাকাউন্টের তথ্যে ভুল থাকায় ওই প্রেরিত টাকা অভিভাবকদের হাতে পৌঁছায়নি। সম্প্রতি সেই টাকা ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এজন্য শুরু হয়েছে উপবৃত্তিবঞ্চিত খুদে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ। অপরদিকে সরকারি হিসাবরক্ষণ সার্ভার আইবাস প্লাস প্লাস সংশ্লিষ্টদের কাছে বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সঠিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার পর শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত পাঠানো হবে।
এর আগে গতবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন বহু অভিভাবক।
অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথ্যে ভুল থাকায় বহু শিক্ষার্থী টাকা পাননি। তবে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়া বা টাকা বাউন্সড ব্যাক হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কতো সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন ধারণা এখনও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে নেই৷ সেসব তথ্য সংগ্রহ করে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপবৃত্তি শাখার সহকারী পরিচালক মো. কবির উদ্দিন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, চাহিদা অনুমোদন হলেও গতবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের উপবৃত্তির টাকা না পাওয়া শিক্ষার্থীরা টাকা পাবেন। তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের। এসব তথ্য সংগ্রহ করে তা নির্ধারিত এমএস ওয়ার্ড ফাইলে সংযুক্ত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের দিতে হবে। এসব তথ্যের সঙ্গে পিইএসপি এমআইএস সফটওয়্যার থেকে টাকা না পাওয়া শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে তা আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
অধিদপ্তর সূত্র বলছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের উপবৃত্তির টাকা কোনো শিক্ষার্থী- অভিভাবক না পেয়ে থাকলে (যাদের চাহিদা অনুমোদিত) বিদ্যালয়ের ইএমাইএস কোড ও নাম, ক্লাস্টার, উপজেলা, জেলা ও শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর, নাম, শ্রেণি, রোল, অভিভাবকের নাম ও এনআইডি নম্বর, মোবাইল অ্যাকাউন্ট নম্বর জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করে আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে অধিদপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে প্রধান শিক্ষকদের।
কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা পেতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে অধিদপ্তরের উপবৃত্তি শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য সংগ্রহের পর সার্ভারে এন্ট্রির ব্যবস্থা করা হবে। আইবাস প্লাস প্লাস থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। মাঠ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সার্ভারে শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রথমে সংশোধন করা হবে। তারপর টাকা পাঠানো শুরু হবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।