দৈনিকশিক্ষাডটকম, চট্টগ্রাম : নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার গুরুত্ব অনুবাধন করেছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিজ হাতে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন। দশম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা। উপবৃত্তি আমাদের শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। নারী শিক্ষার বিষয়ে তিনি আপসহীন।
রোববার সকালে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ৫৭তম গ্র্যাজুয়েশন প্যারেডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, উন্নতির স্বর্ণশিখরে আরোহণের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। উপযুক্ত শিক্ষা আর প্রশিক্ষণের যুগপৎ সমন্বয়ে সফলতা সুনিশ্চিত।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, তাঁরই উৎসাহে, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই একাডেমিতে নারী ক্যাডেটরা যোগদান করার সুযোগ লাভ করেছে। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়ে, ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ ফি ৪ লাখ টাকা থেকে হ্রাস করে এক লাখ টাকা করা হয়েছে। মেরিন একাডেমির ৩ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর (পাস) ডিগ্রি কোর্সকে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) কোর্সে উন্নীত করা হয়েছে। মেরিটাইম সেক্টরে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট, রংপুর, বরিশাল ও পাবনায় চারটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পেশাগতভাবে দক্ষ, বুদ্ধিদীপ্ত এবং চৌকস মেরিন ক্যাডেট তৈরির মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।
ক্যাডেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বয়সে তোমরা একদমই তরুণ। কিন্তু যে দায়িত্ব তোমরা পালন করতে যাচ্ছো, সে এক গুরুদায়িত্ব। এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। তোমরাই পারবে সবকিছু জয় করতে। যুদ্ধটা এখন অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আর সমৃদ্ধি অর্জনের। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে তোমরাই। উত্তাল সমুদ্রকে বশ করা, প্রিয়জন থেকে দূরে থাকা, নিরাপদে পণ্য পরিবহনের প্রতিজ্ঞা আর আন্তর্জাতিক কর্মপরিবেশে খাপ খাওয়ানো কিন্তু বেশ সহজ কাজ নয়। তবে আমরা বিশ্বাস করি, এসব বাধাগুলো তোমরা পার হয়ে যাবে খুব সহজেই। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির প্রশিক্ষণ তোমাদের সেভাবেই গড়ে তুলেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেন, কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে আজ কর্মজীবনে পদার্পণ করছো তোমরা। দেশপ্রেম যেন হয় তোমাদের মূলমন্ত্র। মেধা ও শ্রম দিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। মেরিন খাত আন্তর্জাতিক খাত। দেশের নৌখাত সর্বমহলে প্রশংসিত। মেরিটাইম সেক্টরে নৌ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা প্রশংসনীয় ও গতিশীল। আশাকরি তোমরা নিজেদের দক্ষতায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হবে।
এবার নটিক্যাল শাখায় ১৩৪ জন, ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ১৩৮ জনসহ মোট ২৭২ জন ক্যাডেট ২ বছরের একাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।