কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ঘটনায় আটক এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয়ার দাবিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে ঝালকাঠির বিভিন্ন কলেজ-মাদরাসার কিছু পরীক্ষার্থীরা।
এর মধ্যে রয়েছে, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা এবং নলছিটি জেডএ ভূট্টো ডিগ্রি কলেজ। গত দুই দিনে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার লিখিত ঘোষণা আসে।
জেলার তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যানারে লেখা ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা জানান, ‘২০২৪-ব্যাচের এইচএসসি/আলিম পরীক্ষার্থীরা এই বলে বিবৃতি দিচ্ছি যে, যতোদিন পর্যন্ত সব গ্রেফতারকৃত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মুক্তি দেয়া না হবে, ততোদিন পর্যন্ত আমরা ঝালকাঠির কোনো পরীক্ষার্থী এইচএসসি/আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না।’
নলছিটি জেডএ ভূট্টো ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. রিমন মোল্লা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে যেসব পরীক্ষার্থী আটক হয়েছেন তাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না।
একই কথা বলেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঝালকাঠি সরকারি কলেজের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
এ বিষয়ে দৈনিক আমাদের বার্তার সঙ্গে কথা হয় ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শহিদুল ইসলামের। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। কেউ হয়তো মাদরাসার প্যাড ছাপিয়ে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আলিম পরীক্ষার্থীরা বর্তমানে যার যার বাড়িতে রয়েছেন। মাদরাসা হোস্টেলে বর্তমানে কেউ নেই।
বিবৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শুকদেব বাড়ৈ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমাদের কোনো শিক্ষার্থী এরকম কোন বিবৃতি দেননি। এটা ভুয়া বলে আমি মনে করি।
জেড এ ভুট্টো ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী তালুকদার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমরা সরকারের সিদ্ধান্তে সবসময়একমত। কে বা কারা কী বিবৃতি দিয়েছে সেটাও আমি জানি না। সরকার ঘোষণা দিলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাবো। সরকারের আদেশে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কোনো দ্বিমত নেই।
এদিকে ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান শাওন শিক্ষার্থীদের এই ঘোষণাকে গুজব দাবি করেন। তিনি বলেন, যারা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তারা কেউ এইচএসসি পরীক্ষার্থী নয়।