দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার উত্তরপত্র এখনি জমা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। পরীক্ষকদের নিকট থেকে উত্তরপত্র নিরাপদে নিকটস্থ থানা বা ট্রেজারি শাখায় সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপর দিকে ইতোমধ্যে কয়েক দফায় চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করে আটটি পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার উত্তরপত্র (খাতা) এ মুহূর্তে শিক্ষা বোর্ডে না পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ইতোমধ্যে যে কয়েকটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর উত্তরপত্র এখনি শিক্ষা বোর্ডে না পাঠাতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা এবং অতি গোপনীয়তা রক্ষায় এ উত্তরপত্র নিকটস্থ থানা বা ট্রেজারি শাখায় সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরপত্র বোর্ডে জমাদানের দ্বিতীয় কিস্তির তারিখ (আজ শনিবার) স্থগিত করা হয়েছে।
আবুল বাশার আরো জানান, উত্তরপত্র জমাদানের তৃতীয় কিস্তি ( ৩ আগস্ট, শনিবার ) এবং চতুর্থ কিস্তি ( ১২ আগস্ট, সোমবার ) বলবৎ থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত কর্মকর্তা সময়ে সময়ে বোর্ড থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাবেন।
অবশ্য এর আগেও কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আরো দুই দফায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড অনিবার্য কারণ দেখিয়ে প্রথমে ১৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত তিন দফায় এইচএসসি ও সমমানের আটটি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।