আওয়ামী লীগ এই অক্টোবরে আছে, আগামী অক্টোবরেও থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নাকি আমাদের তাড়িয়ে দেবে কয়েক দিনের মধ্যে? আমরা অক্টোবরে আছি, আগামী অক্টোবরেও থাকব। কী কারণে ক্ষমতা ছেড়ে দেব? কী কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার পুনর্জীবিত করব? কেন শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে? জনগণ তাকে চায়, বিকল্প ভাবে না। সংকটে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। নির্বাচনকালীন সরকার শুধু ‘রুটিন ওয়ার্ক’ করবে। ‘মেজর পলিসি’ গ্রহণ করবে না।
নির্বাচনী ইশতেহার সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইশতেহার কজন পড়ে? সেটা খেয়াল রেখে করতে হবে। বুলেট পয়েন্ট দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনতে হবে। বিশাল বই পড়ার সময় কারও নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘আমাদেরও অ্যাকশনে যেতে হবে। এমন ইশতেহার করতে হবে, যাতে নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিষয় ভাবতে হবে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ভাবতে হবে। ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। সর্বোপরি ২০৪০ খ্রিষ্টাব্দ আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে।’
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিগত সময়ের ইশতেহার মূল্যায়ন করে আগামী নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা হবে।
আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব সেলিম মাহমুদ। সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মন্ত্রী তাঁদের মধ্যে ছিলেন হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, জুনায়েদ আহমেদ ও মহিবুল হাসান চৌধুরী। সংসদ সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ওয়াসিকা আয়েশা খান, মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সাজ্জাদুল হাসান। এ ছাড়া ছিলেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাত্তার মন্ডল, বজলুল হক খন্দকার, শামসুল আলম, মাকসুদ কামাল, মাহফুজুর রহমান, শেখর দত্ত, সাদেকা হালিম, বিপ্লব বড়ুয়া, তারানা হালিম ও সায়েম খানসহ ইশতেহার কমিটির অন্য সদস্যরা।
সূত্র : বাসস