বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজে ভর্তির আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় ভর্তির নির্ধারিত ওয়েবসাইট (www.xiclassadmission.gov.bd) আবেদন করার জন্য খুলে দেওয়া হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোট আবেদন পড়েছে ৪৩ হাজার ৮৪৪টি। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে গড়ে ৯২টি আবেদন জমা পড়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রথম ধাপে আবেদন নেওয়া হবে।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য কারিগরি প্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার একইসঙ্গে আবেদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। বোর্ড থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা এক সপ্তাহ আগে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিদেশে সরকারি সফরে থাকায় নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার আবেদন নেওয়ার কাজও শুরু করা যায়নি। তবে আগামী রোববার ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার চিন্তা আছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কলেজ ও মাদরাসায় একই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হচ্ছে। কোনো রকমের যান্ত্রিক বা কারিগরি সমস্যার অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন, প্রত্যেকে তার প্রাপ্ত নম্বর ও মেধা স্কোর জানে। তাই নিজের অবস্থান বুঝে তারা যেন আবেদনে কলেজ পছন্দ করে। কেননা, নির্দিষ্ট কিছু কলেজের দিকে সবসময় নজর থাকে। কিন্তু সেসব প্রতিষ্ঠানে সিটসংখ্যা নির্ধারিত আছে। সুতরাং সেসব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ নম্বর আর মেধাস্কোর প্রাপ্তরাই পাবে। তাই কলেজ বা মাদ্রাসা পছন্দ করার ক্ষেত্রে ভুল করলে ভালো ফল করা সত্ত্বেও অনেকে কলেজ পাবে না। তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, প্রত্যেক এলাকায় ভালো কলেজ আছে। ভর্তিবঞ্চিত বা দ্বিতীয়-তৃতীয় ধাপে ভালো কলেজ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে সেগুলো প্রথম তালিকায়ই পছন্দ করতে হবে।
অন্যদিকে কারিগরি বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে এর সচিব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রোববার তার বোর্ডে কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন ধারায় আবেদন নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে তাদের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রথম ধাপে অনলাইন আবেদন নেওয়া ১৫ ডিসেম্ব শেষ হবে। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে তাদেরও এ সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। ফল প্রকাশের পর এই ধাপে কলেজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। আর পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল কারও পরিবর্তন হলে সে আগের আবেদন বাতিল করে ২৬ ডিসেম্বর পুনরায় অনলাইন আবেদন করতে পারবে। তখন প্রথম ধাপের আবেদনকারীরা পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ পাবে। ৩১ ডিসেম্বর এ ধাপের মেধা তালিকা বা ফলাফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপের আবেদন নেওয়া হবে ৯-১০ জানুয়ারি। আর তৃতীয় ধাপের আবেদন ১৬ জানুয়ারি নেওয়া হবে।