বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলারে ৫০ মণ বা দুই মেট্রিক টন মাছ ধরা পড়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার একটি ট্রলারে। যার মধ্যে ৪০ মণই ইলিশ। ওই ট্রলারে দুই সহস্রাধিক ইলিশ ধরা পড়েছে বলে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। জেলেরা বলছেন, যার মধ্যে এক কেজির বেশি ওজনের প্রায় দেড় হাজার ইলিশ রয়েছে।
গত ১১ আগস্ট বরগুনার পাথরঘাটা থেকে সাগরে মাছ শিকার করতে যায় এফবি অলিউল্লাহ-১ নামের বরগুনার একটি মাছ ধরার ট্রলার। এরপর টানা সাত দিন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন স্থানে মাছ শিকার করেন ওই ট্রলারের জেলেরা। মাত্র সাত দিনে তারা শিকার করেন বিভিন্ন প্রজাতির ৫০ মণ সামুদ্রিক মাছ। একসঙ্গে এতো মাছ শিকার করতে পারায় বেজায় খুশি ট্রলারের জেলেরা।
ট্রলারটির মাঝি শাহ্ আলম (৪৮) দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে আমরা সাত দিন মাছ ধরেছি। বঙ্গোপসাগরের চালনার বয়া এলাকায় পশ্চিম দিকে পাঁচ ঘণ্টা ট্রলার চালিয়ে গিয়ে মাছ ধরেছি। এছাড়াও বাইজদার বয়া এলাকা থেকে আট ঘণ্টা পূর্ব দিকে ট্রলার চালিয়ে গিয়ে মাছ ধরেছি।
ট্রলারটির অপর এক জেলে আব্দুল হাকিম (৫৫) দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার জীবনে একসঙ্গে এতো মাছ আর কোনোদিন পাইনি। এরকম মাছ সচরাচর পাওয়াও যায় না।
ইসমাইল নামের আরেক জেলে (২০) দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা মোট সাত বার জাল ফেলেছি। প্রতিবার ৬ মণ, ৭ মণ করে মাছ পেয়েছি। জালে এতো মাছ দেখে আমরা যেমন অবাক হয়েছি, ঠিক তেমনি খুশিও হয়েছি।
রাকিব নামে ট্রলারটির অন্য আরেক জেলে রাকিব (২৭) বলেন, নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ ইলিশ পেয়েছি আমরা। এর মধ্যে এক হাজার ৫০০ ইলিশের প্রতিটির ওজন এক কেজির ওপরে। সে হিসেবে দেড় মেট্রিক টনেরও বেশি পেয়েছি শুধু ইলিশ।
এ বিষয়ে ট্রলারটির মালিক মো. আলম মোল্লা বলেন, সাগরে এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আমার ট্রলারে যে মাছ পেয়েছি তার দাম ২১ থেকে ২২ লাখ টাকা। এভাবে মাছ পাওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আমরা লাভবান হবো।