পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে ৩৫টি ভুল বানান নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভুল বানান চিহ্নিত প্রশ্নটি। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রিন্ট করতে গিয়ে ফন্ট ভেঙে যাওয়ায় এমন প্রশ্ন ছাপা হয়েছে। আর অভিভাবকরা বলছেন, প্রশ্ন করা এবং তা শিক্ষার্থীদের হাতে সরবরাহের আগে শিক্ষকদের আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল।
শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠলেও এবার নতুন এই বিতর্কের সৃষ্টি হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিবা শাখার বাংলা শিক্ষক এসএম আবুল হোসেন প্রশ্নটি তৈরি করেন। ওই শিক্ষকের দাবি, তিনি ঠিকভাবেই প্রশ্ন তৈরি করে জমা দিয়েছেন এবং তার দেওয়া প্রশ্নে কোনো বানান ভুল ছিল না। তিনি বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত কম্পিউটারে টাইপ করে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস আগে প্রশ্ন জমা দিয়েছি। আমার তৈরি করা প্রশ্নে কোনো বানান ভুল ছিল না। তবে এখন যে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে ৩৫টি বানানের আ-কার, এ-কার ভুল আছে। এটা পরীক্ষা কমিটি বলতে পারবে কীভাবে ভুল হলো।
এদিকে প্রশ্নে এমন ভুল থাকা এবং তা দিয়েই পরীক্ষা নেওয়ায় বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসের থেকে প্রাইভেট কোচিংয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়াসহ বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার বিষয়গুলো সামনে চলে এসেছে।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রশ্নপত্র ছাপার সময় প্রেসের লোকজন ফন্ট পরিবর্তন করতে গিয়ে আ-কার, এ-কারসহ কিছু ফন্ট ভেঙে গেছে। এ জন্য প্রিন্টার প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহি করা হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল যাতে না হয় সে জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।