১৫ আগস্ট বাংলাদেশে সাইবার হামলার ঝড় বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ‘হ্যাকিভিস্ট’ নামের একটি সাইবার গ্রুপ। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো হামলার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট)।
গত ৪ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে সার্ট জানায়, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছে ধর্মীয় আদর্শিকভাবে অনুপ্রাণিত হ্যাকার দল। ৩১ জুলাই দেওয়া হুমকিতে হ্যাকার দলটি নিজেদের ভারতীয় বলে দাবি করে। হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা জারি করে সার্ট।
তারা জানায়, সরকারি সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ব্যাংক-বীমা, ফার্মাসিউটিক্যালস, জ্বালানি ও শিক্ষা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো হ্যাকারদের প্রধান লক্ষ্য। এই একই মতাদর্শের কয়েকটি হ্যাকার দলকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে নিয়মিত সাইবার আক্রমণ চালাতে দেখা গেছে। এ হুমকির পর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর ২৯ সংস্থাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে আইসিটি বিভাগ। এতে সংস্থাগুলো সাইবার নিরাপত্তার জন্য বিশেষ টিম গঠন করতে বলা হয়। ইতোমধ্যে তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা টিম গঠন করেছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে সার্টের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল আলম খান মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, হুমকির ঘটনার পর সংস্থাগুলোর মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। হুমকি দাতা গ্রুপকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
তিনি বলেন, নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে। নতুন কোনো হামলার ইঙ্গিত পেলে সবাইকে জানানো হবে। তবে নিজ নিজ সাইটের ও সার্ভারের নিরাপত্তার দায়িত্ব সংস্থাগুলোর নিজেদেরই নিতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষক ও ডিকোডস ল্যাব লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটগুলোর ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া নিয়মিত দুর্বলতা মূল্যায়ন করা হয় না। তাই দুর্বলতা চিহ্নিত হয় না। খরচ বাঁচাতে ওয়েবসাইটগুলো দক্ষ প্রোগ্রামারের পরিবর্তে নতুনদের দিয়ে কাজ করানো হয়। এতে সাইটটি দুর্বল হয়, যা সহজে হ্যাক করা যায়। নিরাপত্তার জন্য সচেতনতা জরুরি। পাশাপাশি দক্ষ নিরাপত্তা টিম গঠন করতে হবে।