ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কথোপকথনের আরেকটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১২টায় ফাঁস হওয়া এই অডিও ক্লিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত কথোপকথন রয়েছে।
ফারাহ জেবিন নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই অডিও ক্লিপ প্রকাশ করা হয়। যাতে উপাচার্যকে এক ব্যক্তির আত্মীয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে প্রথম বা দ্বিতীয় করবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা গেছে। তবে ওই প্রার্থীকে নিয়োগের নিয়ম পূরণ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন উপাচার্য।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত উপাচার্যের সঙ্গে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন চাকরিপ্রার্থীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কথোপকথনের মোট ১০টি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অডিও ফাঁসের পর ১৯ ফেব্রুয়ারি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগসহ তিনটি বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ছাড়া ২২ ফেব্রুয়ারি ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপের কথোপকথনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর এবং প্রকৌশল দপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি তার ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপের কথোপকথনের বিষয়ে জানতে উপাচার্যের কাছে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপের কথোপকথন তিনি শোনেননি। কর্র্তৃপক্ষ হিসেবে ইউজিসি ও সরকার রয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবে।
এর আগে, অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
অন্যদিকে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেছেন এক চাকরিপ্রার্থী। শাহবুব আলম নামের ওই প্রার্থী উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকে অভিযোগ করেন। গতকাল বুধবার তার অভিযোগ আমলে নিয়েছে দুদক।