বেসরকারি কলেজের এমপিওভুক্ত ল্যাব সহকারীদের কেনো ১৮ তম থেকে ১৬তম গ্রেডে বেতন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ ল্যাব সহকারীদের ল্যাব সহকারীদের কাজ নির্ধারণ করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর যৌথ বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলে বিবাদি করা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, প্রশাসন ও কলেজ শাখার পরিচালক এবং আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকদের।
ল্যাব সহকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন। বুধবার রাতে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিভিন্ন কলেজের এমপিওভুক্ত ল্যাব সহকারীরা বেতন বৈষম্যের শিকার। তারা ১৮তম গ্রেডে এমপিও পান। তারা ১৬তম গ্রেডে এমপিও চান। তাদের কোনো ১৬তম গেড দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল-নিশি জারি করেছেন হাইকোর্ট। আর ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৮ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা তাদের দিয়ে চা আনানো, বেঞ্চ মোছানোসহ বিভিন্ন কাজ করান। তাই ল্যাব সহকারীদের কাজ কী হবে তা সুনির্দিষ্ট করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন কলেজের ল্যাব সহকারীরা বলছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১০ম এবং অন্যান্য অধিদপ্তরে ল্যাব সহকারীদের সর্বনিন্ম বেতন গ্রেড ১৬তম। অন্যদিকে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী, ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১০, ১৩ এবং ১৬ তম কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কলেজ পর্যায়ে বিজ্ঞান ও আইসিটি বিভাগে ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৮। যেখানে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী যে পদের বিপরীতে যে গ্রেড তা পেলেও এক্ষেত্রে বঞ্চিত এমপিওভুক্ত এই ল্যাব সহকারীরা। এছাড়াও ল্যাব সহকারীদের কোনো কর্ম নীতিমালা না থাকায় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে ল্যাব সহকারীদের দিয়ে ল্যাবের বাইরেও বিভিন্ন কাজ করানো হয়। অনেক সময় দেখা যায় এমপিও নীতিমালা অনুসারে ২০তম গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীদের যে কাজ, সেই কাজও ১৮তম গ্রেডে কর্মরত ল্যাব সহকারীদের দিয়ে করানো হয়। যার অবসান হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।