গত ২১ আগস্ট ৫ম শিক্ষক নিয়োগচক্র ২০২৪ এর মাধ্যমে ২২ হাজার ২১ জনকে শিক্ষক হিসেবে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। এখন চলছে এ সকল নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ ও যোগদানের কাজ। দুদিন বাদে ১ তারিখ থেকে দৌড়াতে হবে এমপিওভুক্তির জন্য। মাত্র ৪ দিনে শেষ করতে হবে এমপিও আবেদনের মহা কর্মযজ্ঞ। অবশ্য সামনে বেজোড় মাস হাওয়ায় স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দৌড় দৌড়াতে হবে আরো একমাস পর। আপাতত মাদরাসা শিক্ষকরা থাকবেন এই দৌড়ে। এমতাবস্থায় আমরা সকলেই জানি এখন দেশের একটি বড় অংশ বন্যা কবলিত।
ঐ অঞ্চলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা সময়মতো নিয়োগ ও যোগদান করতে পারবেন কিনা সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। ফলে ঐ অঞ্চলের মাদরাসার নতুন শিক্ষকরা প্রথম মাসের এমপিও ধরতে পারবেন কিনা সন্দেহ। আমার এ সন্দেহের আরেকটি বড় কারণ হলো সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতির পদ বিলুপ্তি। পদাধিকার বলে ইউএনও এবং ডিসি মহোদয় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। উক্ত কর্মকর্তাদেরকে শতশত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অন্যান্য বিষয় দেখতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অফিসে তাই পা ফেলারও সংকুলান হচ্ছে না। তাছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানেই বর্তমানে প্রতিষ্ঠান প্রধান নেই। কিছু প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও অনুপস্থিত। এমনই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ২৭ আগস্ট মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে এমপিওভুক্তির কাজ সহজিকরণ করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে অনলাইন আবেদন প্রতি মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত এর পরিবর্তে ৪ তারিখ করা হয়েছে। মাদরাসার সকল নতুন শিক্ষক যেনো প্রথম মাসেই এমপিওভুক্ত হতে পারেন সেজন্য। যেখানে এমপিওভুক্তির আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিলো সেখানে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্ত নতুন শিক্ষকদের আরো জটিলতায় ফেলবে বলে আমার বিশ্বাস। এ সিদ্ধান্তের ফলে মাদরাসার অনেক শিক্ষকই সেপ্টেম্বরে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন না। তাই মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিকট ২৭ আগস্টের বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে এমপিও আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
লেখক: ৫ম শিক্ষক নিয়োগচক্রে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত। প্রভাষক (আরবি), লাউড়ী রামনগর কামিল মাদ্রাসা, মণিরামপুর, যশোর।
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন)