নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান সজীবকে (১৬) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে নিহতের পিতা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
তবে এ হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, 'রাতে নিহতের পিতা মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।'
মামলার আসামিরা হলো- উপজেলার বলাইখা এলাকার শামীম (১৮), শাাকিব (১৮), টুটুল (১৮), সজিব (১৮), আবু বক্কর (১৯) এবং পঁচাইখা গ্রামের রাহিম (১৮)।
আতাউর রহমানের ভাষ্য, আসামিদের সবাই নিহত সজীবের সহপাঠী।
গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে 'প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের' জেরে শিক্ষার্থীদের ২ পক্ষের দ্বন্দ্বে মেহেদী হাসান সজীব ও তার ৩ বন্ধুকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
পুলিশ বলছে, 'একটি মেয়েকে প্রেম নিবেদন করাকে' কেন্দ্র করে ২ শিক্ষার্থীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলেও ২ পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান সজীব (১৬) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার কালিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে রূপগঞ্জের বলাইখা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত।
মামলার এজাহারে শফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল সজীবের। স্কুলের মডেল টেস্টে অংশ নিতে সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় সজীব। দুপুর বারোটার দিকে তাকে ক্লাসরুম থেকে ডেকে নেয় আসামিরা। পরে স্কুলের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।