দৈনিক শিক্ষাডটকম চট্টগ্রাম : আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল কামরুল হাসান আলভীর। নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। তবে ডেঙ্গুর কাছে হার মেনে আর পরীক্ষা দেওয়া হল না তার। রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ১৫ বছর বয়সী আলভীর। এদিন তার স্কুলে পরীক্ষার ফরম পূরণের শেষ দিন ছিল। ছেলেকে হারিয়ে শিক্ষক দম্পতি পাগলপ্রায়।
হালিশহরের হাউজিং সেটেল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল সে। পরীক্ষার ফরম পূরণ করার আগেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় চলে গেল আলভী।
জানা যায়, আলভীর বাবা আতাউর রহমান বাঁশখালী আলাওল সরকারি কলেজের শিক্ষক ও মা আগ্রাবাদ তালেবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নগরের আগ্রাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় তাঁরা বসবাস করেন। গ্রামের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে আলভী বড়। ছোট ভাইও কিছুদিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়। কিন্তু সুস্থ হয়ে আর ফিরতে পারল না আলভী।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর কামরুলকে ভর্তি করা হয়েছিল মা ও শিশু হাসপাতালে। ১৩ দিন সেখানে ডেঙ্গু জ্বরের সঙ্গে লড়াই করেছে সে। শেষ ১১ দিন ছিল নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে। সেখানেই সে মারা যায়।
গতকাল সোমবার বাদ মাগরিব স্থানীয় হাউজিং সোসাইটি মসজিদে কামরুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় তার সহপাঠী, শিক্ষকসহ শত শত মানুষ অংশ নেন। এই মসজিদে প্রতিদিন নামাজ পড়ত কামরুল।
প্রথম জানাজা শেষে কামরুলের মরদেহ গ্রামের বাড়ি আনোয়ারায় নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয়বার জানাজা শেষে দাফন করা হয়।