চলতি ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বিভিন্ন মেয়াদে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে র্যাগিংয়ের অভিযোগেই বহিস্কার করা হয়েছে ১২ জন শিক্ষার্থীকে।
হাবিপ্রবি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে ক্যাম্পাস ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্রাবাসে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগিং ও হয়রানির অভিযোগে মার্কেটিং বিভাগের ৬ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার এবং ৩ শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্রাবাসে র্যাগিংয়ের অভিযোগে কৃষি অনুষদের রাকিবুল হুদা তাজমুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও আরো দুই শিক্ষার্থীকে সর্তক করা হয়। একই মাসে শ্রেণিকক্ষে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২১ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
যৌন হয়রানী ও নারী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেয়ার অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছে আরো দুই শিক্ষার্থী। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে দুই পৃথক ঘটনায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ এবং অর্থনীতি বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী রিফুজার রহমান রনিকে ১ বছরের জন্য বহিস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া চলতি ডিসেম্বরে সর্বশেষ র্যাগিংয়ের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তাজউদ্দীন আহমদ হলের ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার করা হয়।
প্রক্টর ও র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রতিটি অভিযোগের প্রক্ষিতে অভিযোগকারী এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের উভয়ের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি মৌখিক শুনানি এবং লিখিত বক্তব্য নিয়ে তদন্ত করেই এসব ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার জন্য লেখাপড়ার সুন্দর, সুষ্ঠ পরিবেশ রক্ষায় সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্গলা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।