‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ মহীয়সী নারী কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী আজ (২০ জুন)। ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্ম তার।
‘জননী সাহসিকা’ হিসেবে খ্যাত এ কবি আজীবন মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেছেন। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে সংগ্রাম করেছেন। তিনি সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামেও বিশেষ অবদান রেখেছেন। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় মৃত্য হয় তার।
মহীয়সী এ নারী কবির জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তারা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সুফিা কামাল বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আপসহীন ছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তের পর পরিবারসহ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং আন্দোলনে নারীদের উৎসাহিত করেন। ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত ইত্যাদি। এছাড়া তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ হচ্ছে সোভিয়েতের দিনগুলি এবং একাত্তরের ডায়েরি।
সুফিা কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সোভিয়েত লেনিন পদক, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক।