রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার আত্মহত্যার ঘটনায় ইউনিভার্সিটিতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। আজ রোববার ইউনিভার্সিটির গ্রিন রোডের ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অভিযোগ, ইউনিভার্সিটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইল সরানোর অভিযোগ তুলে ফারুক হোসেনকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান। পরে ফাইল চুরির নাটক সাজানো হয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ফারুক হোসেন। পরে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
ফারুক হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তার ভাই ফরিদ হোসেন বাদী হয়ে মিরপুর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই ২৫ বছর এখানে সুনামের সঙ্গে চাকরি করেছেন। ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজ ফাইল চুরির অভিযোগ এনে আমার ভাইকে চাকরিচ্যুত ও মামলার হুমকি দিয়েছিলেন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে আমার ভাই আত্মহত্যা করেছেন। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ, ইউনিভার্সিটির নিয়োগ-পদোন্নতির কিছু ফাইল সরিয়ে সেগুলো চুরির অভিযোগ তোলা হয় ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি মারা যাওয়ার দুই-তিন দিনের মধ্যে সেই ফাইলগুলো আবার উদ্ধার হয়। মোস্তাফিজুর রহমান তার অনুগত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করে ফাইলগুলো সরিয়েছিলেন।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) সঙ্গে আমার এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’