কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে এমপিওভুক্তি, উচ্চতর গ্রেড, নাম পদবি সংশোধন ও ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতারকরা নিজেদের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেয়ার প্রলোভনে বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে টাকা দিতে বলছেন বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলছে, অধিদপ্তরের কোনো কাজে কাউকে টাকা দেয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ টাকা চাইলে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে জানাতে অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম করে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি করা, উচ্চতর স্কেল, পদোন্নতি পাইয়ে দেয়া, ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতা, এমপিও সিটে নাম, পদবী, জন্ম তারিখ সংশোধন, বকেয়া দেয়া, প্রশিক্ষণে শিক্ষক-কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্স কর্তনসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানে ফোন, ই-মেইল, এসএমএস করে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টি বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে। ইতোমধ্যে অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ এসেছে অধিদপ্তরে।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, অধিদপ্তরের কোনো কাজে কাউকে টাকা দেয়া প্রয়োজন হয়না। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধানে ভিত্তিতে সেবা দিয়ে থাকে। টাকার বিনিময় বা উপহারের বিনিময়ে কোনো কাজ হওয়ার সুযোগ নেই। যেসব ফোন নম্বর দিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ফোন করে টাকা দাবি করে সেসব নম্বর চিহ্নিত করার জন্য অধিদপ্তরকে জানানো প্রয়োজন। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের অফলাইন ও অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
এসব প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানী অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে নগদ বা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোথ করা হয়। সম্প্রতি একটি জালিয়াতি চক্র প্রশিক্ষণের সম্মানী দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জানতে চায়। এ ধরণের কাজের সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাই ই-মেইল ফোন, চিঠিপত্র বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভিত্তিতে কাউকে কোনো টাকা বা উপহার, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা ক্রেডিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য অপরিচিত কোনো ব্যক্তিকে না দিতে শিক্ষক কর্মচারীদের পরামর্শ দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।অধিদপ্তর আরো বলছে, কেউ কোনো ধরনের সুবিধা বা টাকা দাবি করলেই বুঝতে হবে এটা প্রতারক চক্রের কাজ, এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।