দৈনিক শিক্ষাডটকম, জামালপুর : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোহাম্মদ ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে করা বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কায় তাকে সমায়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত রোববার প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত ও শৃঙ্খলা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব ফরিদ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আইয়ুব আলী বলেন, ‘টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস স্যারকে বরখাস্ত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার কাগজ পেয়েছি।’
ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (পদায়নের আদেশাধীন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, লক্ষ্মীপুর) মোহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম এবং অসদাচরণের বিষয়ে আনা অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক তথ্য এবং পারিপার্শ্বিকতা পর্যালোচনায় করা বিভাগীয় মোকদ্দমার তদন্তে তাঁর প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা আছে। তাই সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর বিধি ৩৯ অনুযায়ী জনস্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ সময় তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন মোহাম্মদ ফেরদৌস। তিনি ২০২০ সালের ৪ জুন ইসলামপুরে যোগদান করেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেয়ে জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে যোগদানের আদেশপ্রাপ্ত হন টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস। পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি ওই প্রজ্ঞাপন আংশিক সংশোধনে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে মোহাম্মদ ফেরদৌসকে যোগদান করতে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে তাঁকে পদায়নাকৃত কর্মস্থল লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি যোগদান করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি কোনো সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে টিও পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি। এ নিয়ে গত ১৬ মার্চ গণমাধ্যমে ‘ইসলামপুরে শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তাঁর মন্তব্য নেওয়ার সম্ভব হয়নি।