নওগাঁর মান্দার কারিগরি ও কৃষি কলেজের কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী। তাদের দাবি, প্রেগনেন্সি টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল বুধবার বিকেলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের ইনায়েতপুর গ্রামে চেয়ারম্যান পাড়ার রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অভিযুক্ত ফজলে রাব্বির মা রেবেকা সুলতানা, ছোট ভাই মুরাদ হোসেন মাফি, স্থানীয় হারুন-অর রশিদ, প্রতিবেশী আবুল মন্ডল, ফারহানা তাসমিন, শিউলী আক্তারসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, মান্দা কারিগরি ও কৃষি কলেজের অফিস সহকারী কাম- কম্পিউটার অপারেটর ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় প্রেগন্যান্সি টেষ্টের চাঞ্চল্যকর রহস্য ফাঁস হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভুয়া প্রেগন্যান্সি টেস্টের রিপোর্ট দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ধর্ষণ মামলায় কোনো তদন্ত ছাড়াই অতি উৎসাহী হয়ে পুলিশ গভীর রাতে এক ঘন্টার মধ্যেই তাকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, ফজলে রাব্বি (২৮) প্রসাদপুর ইউনিয়নের ইনায়েতপুর (মন্ডলপাড়া) গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে । পেশায় তিনি একজন অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর। এর পাশাপাশি তার একটি পেয়ারা বাগান রয়েছে। চাকরির পাশাপাশি তিনি পেয়ারা বাগান দেখাশুনা করতেন। অপরদিকে মামলার বাদি বাবাও একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী। তিনি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বেশ কয়েকজনকে বিয়ে করেছেন।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে এসব বিষয়ে মামলার বাদি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী মাসুদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গত ১ জুলাই রাতে ওই নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করায় ফজলে রাব্বিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।