সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে কাঁঠালের নিলামকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী এবাদুল হককে দুবাইগামী একটি ফ্লাইট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ জুলাই) রাতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহতরা হলেন উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৪৫), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০), আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫) ও আছির মাহমদের ছেলে মুখলেছুর রহমান (৬০)।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে উঠেন আসামি এবাদুল। খবর পেয়ে পুলিশ গভীর রাতে বিমান থেকে এবাদুলকে নামিয়ে আনে। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সুনামগঞ্জে নিয়ে যায়।
এছাড়া ফ্রান্স প্রবাসী তার ভাই মইনুল হোসেন যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সব ইমিগ্রেশনে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তারা দু’পক্ষের মধ্যে মালদার গ্রুপের সদস্য।
উল্লেখ্য, সোমবার (১০ জুলাই) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের হাসনাবাদে নিলামে মসজিদের কাঁঠাল বিক্রির সময় দাম হাঁকানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।